শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
কথাসাহিত্যিক শওকত আলী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তার বড় ছেলে আরিফ শওকত পল্লব এ খবরজানিয়েছেন। শওকত আলীকে ফুসফুসের সংক্রমণ, কিডনি জটিলতা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে ৪ জানুয়ারি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
প্রথমে আইসিইউতে রাখা হলেও পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল। পরে তাকে ল্যাব এইড থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেয়া হয়।
১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার থানা শহর রায়গঞ্জে জন্ম নেন শওকত আলী।
ছাত্র জীবনেই তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এর কিছুদিন পরেই তিনি জড়িয়ে পড়েন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তাকে বন্দি করে জেলে পাঠায় পাকিস্তানের সামরিক জান্তা।
পরে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও কিছুদিন পরে শিক্ষকতায় যোগ দেন তিনি। বামপন্থিদের ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায় লেখালেখি করেন শওকত আলী। এছাড়া দৈনিক মিল্লাত, মাসিক সমকাল, ইত্তেফাকে তার অনেক গল্প, কবিতা ও শিশুতোষ লেখা প্রকাশিত হয়।
শওকত আলী ‘ওয়ারিশ’ উপন্যাসে ব্রিটিশ শাসনামল, দেশভাগ আর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার চিত্র তুলে ধরেন। বিখ্যাত ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ উপন্যাসে তিনি নিম্নবর্গের মানুষের বঞ্চনার কথা বলেছেন।
তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- পিঙ্গল আকাশ, অপেক্ষা, গন্তব্যে অতঃপর, উত্তরের খেপ, অবশেষে প্রপাত, জননী ও জাতিকা, জোড় বিজোড়।
কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে একুশে পদক পান শওকত আলী। পরে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার পান।